Friday, September 25, 2020

ভুল স্বীকার করতে শিখুন, সাথে স্থায়ী সমাধান!

 


ট্রাফিক পুলিশ একটি ভাইকে আটকালেন তার লাইসেন্স সমুহ চেক করার জন্য!

একটু পরে দুজনেই আলাদা হয়ে দূরে চলে গেলেন কিছুটা ! এরপরে কি ঘটতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে? আপনারা নিশ্চই জানেন!

সম্ভবত দু'শ অথবা পাচশো টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিতে দেখলাম। কিছুক্ষন পরে ভাইটি চলে গেলেন বুক ফুলিয়ে!

কি ঘটছে এখানে ! কে কাকে দোষ দিবেন?

তবে শুনুন।

ভুল স্বীকার করতে শিখিনাই আমরা!

ভুলকে একসেপ্ট করতে পারেন?

আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজেদের ভুলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে অন্যের ভুলগুলো নিয়েই পড়ে থাকি।

আমাদের নিজেদের ভুলের জন্য যখন শাস্তি পাওয়া উচিত, ঠিক তখনি আমরা সব নীতিকথা বাদ দিয়ে দেই! কোন না কোন ভাবেই আমাদেরকে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে! এরজন্য সৎ অসৎ কোন কিছুই তখন আমাদের মাথায় থাকেনা! এটাই রিয়েলিটি।

পুলিশকে বলবেন ঘুষ খায়। অথচ আপনি ভুল করে তার সাজা পেয়ে, অনুশোচনা না করে অপরাধ এবং ডাবল অপরাধের পথ বেছে নিয়ে আড্ডায় সিগারেট মুখে দিয়ে বলবেন, শালা দেশটা গেলো নষ্ট হয়ে ঘুষখোরে!

আমি বলছিনা আপনি ঘুষ না দিয়ে অই মুহুর্তে জেলে ঢুকে যান। কিন্তু পূর্ব সতর্কতা কি সম্ভব নয়?

আমি সব নিয়ম মেনে চলবো, অন্য কেউ ভাঙতে চাইলেও বাধ্য করবো!

প্রতিবন্ধকতা চলে আসে অনেক কিছুই। তবুও আমরা এখন যা দেখতে পাচ্ছি, এসব আমাদেরই তৈরি। আমাদের নিজেদের হাত ধরেই এসব অপকর্ম চলে আসছে যুগ যুগ ধরে! কাকে দোষ দিবেন?

নিজেকে? সমাজব্যবস্থাকে? রাষ্ট্রকে?

ভেবে দেখুন তো ?

সব কিছুর মূলে কিন্তু আমি আপনি আমরাই !!

প্রথমে নিজেদের ভুলগুলোকে স্বীকার করতে জানতে হবে, মানতে হবে! নিজের ভুলকে অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার সুন্দর একটা কৌশলগত অভ্যাস আমরা পেয়েছি সেই জাতীগত ভাবেই। এটা থেকে বেরিয়ে এসে বলতে হবে, জানাতে হবে! সঠিক জিনিসগুলো যেভাবে বুক ফুলিয়ে বলার অভ্যাস, তেমনি নিজেদের ভুলগুলোকে অন্তত স্বীকার করে, তার স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে।

কাঁদা ছোড়াছুড়ির যে ঐতিহ্যগত একটা রীতি সেটাকে আড়ালে রেখে সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশ, সমাজ, সংস্কৃতিতে আমরা যেসব জিনিসে অভ্যস্ত, তা একদিনে সম্ভব নয় ছেড়ে দেয়া। একটু একটু করেই শুরু করতে হবে, প্রথমেই নিজের কাছ থেকেই।

আজ থেকেই শুরু হোক পরিকল্পনা, যাতে ভুলকে এড়িয়ে না গিয়ে স্থায়ী সমাধান খুজতে পারি। অন্যকে দোষারোপ করার আগে নিজের জায়গাটাকে আরেকটু পরিপাটি করি।

তবেই হয়তো নতুন কিছু হওয়া সম্ভব!

Thursday, September 24, 2020

বেঁচে থাকতে চান? তবে কাজ করুন মানুষের জন্য!

 জগতের নিয়ম মানেন? 

বসন্তের কোকিলের ডাকে কখনো হৃদয় উতলা হয়ে উঠেনি?

বৃষ্টির শব্দে প্রেম জমে হৃদয়টাকে তোলপাড় করেছে কখনো?

বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, অর্থ উপার্জনের তাগিদে দেশ হতে দেশান্তর ঘুরে বেড়ানো, রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে পথ চলতে থাকা মানুষগুলোকে যুদ্ধের মাঠের সৈনিকের চেয়ে বেশি সম্মান করতে ইচ্ছে হয় আমার!

নিজের কথা বাদ দিয়ে অন্যের কথা শুনতে থাকা, অন্যের কষ্টগুলোকে উপলব্ধি করা , নিজেকে সেখানে বিলিয়ে দেয়া খুবই কষ্টের! এই কাজগুলো যারা করতে পারে, ঐ মানুষগুলোকে আমার একেকটা হীরের টুকরো মনেহয়! 

আপনি ভালো থাকতে চান?

একাই ভালো থাকতে চান? 

বাড়ির পাশের রহিম কিংবা করিম ছেলেটি, অথবা তার পরিবার যদি ঠিকমতো না খেয়ে থাকে! আপনি ভালো থাকতে পারবেন?

যদি পারেন, তবে খুবই সুন্দর একটি সংজ্ঞা আপনার সাথে মিলে যাবে। 

আপনি এখনো সত্যিকারের মানুষ হতে পারেন নি! 

সত্যিকারের মানুষ হতে চান? নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান যুগ যুগ ধরে? 

তবে মানুষের জন্য কিছু করুন! হ্যাঁ মানুষের কল্যানের জন্যই ! 

একমাত্র এই কাজের মাধ্যমেই আপনি পৃথিবীতে না থেকেও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন! 

আপনি আমি আজকে যাদের নাম নিয়ে কথা বলতেছি, তারাই কোন না কোন কাজ করে গিয়েছেন মানুষের কল্যানে! 

আপনি যদি ভালো নামে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে চান, তবে অবশ্যই ভালো কিছু করতে হবে! 


বিশ্বাস করুন, আপনি চলে যাবার মুহুর্ত থেকে পৃর্থিবী আপনাকে ভুলে যাবার জন্য সব আয়োজন শুরু করে দিবে! কিন্তু আপনিই শুধু পারেন তাদের সব আয়োজনকে নষ্ট করে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ শুরু করতে ! 

অতীতের ইতিহাসের দিকে একবার তাকান! সব কিছুই বুঝতে পারবেন! সব। 


এই জীবন যেহেতু চিরস্থায়ী নয়, তাই অবহেলায় সময় নষ্ট না করে ভালো কাজে ব্যয় করা উচিত! 

শেষে একটা কথা বলতে চাই- কখনো কারো ক্ষতি সাধন কিংবা কারো ক্ষতি হোক এতটুকুও কামনা করবেন না!