নিজের জীবনকে নিখুঁত করার দায়িত্ব একান্তই নিজের। শুধুমাত্র আশা করে বসে থাকলেই খাবার টেবিলে নিশ্চয়ই খাবার চলে আসবেনা, তার জন্য কাজ না করলে। শুধুমাত্র কারো উপর ভরসা করে বসে থাকলে কখনোই সেটা পরিপূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়না। প্রত্যেকটি কাজেই ব্যর্থতা থাকবে।
নিজের ইমোশনকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা যদি আপনার থাকে, রাগের মুহুর্তকে যখন সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। তাহলেই নিজের উপর অর্ধেক কন্ট্রোল আপনার চলে এসেছে। রাগের সময় নিজেকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করেন?
জীবন যেমন চিরস্থায়ী নয়, সময় তারই একটা অংশ। তাই অবশ্যই আমাকে বুঝতে হবে কোন কাজের গুরুত্ব বেশি, আর কোন কাজের গুরুত্ব কম। সেভাবেই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহন করে এগিয়ে যেতে হবে।
কোনো কিছুতেই ওভার থিংকিং করা যাবেনা। কোনো একটা বিষয়ে এনালাইসিস করা যেতে পারে, বুঝার চেস্টা করাটা ডিফারেন্ট। কিন্তু ছোট একটা বিষয়কে কখনোই অনেক বড়ভাবে চিন্তা করে নেগেটিভ ইমপ্যাক্টের মাধ্যেমে জীবনের সহজতর চলার পথকে কঠিন করা যাবেনা। থিংকিং ইজ গুড। বাট ওভার থিংকিং কখনোই পজেটিভ নয়।
সবচেয়ে বড় যেই ব্যাপার, তা হলো- আপনার নিজের ব্যথা অন্য কেউ ফীল করতে পারবেনা। তাই অন্যের কথায় কান দিতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেললে আর খুঁজে পাবেন না।
নিজেকে কখনোই সেই চিন্তার ধারে কাছেও নেয়া যাবেনা, যে- আপনি অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন, অনেক ডিগ্রী আপনার দখলে তারমানে দুনীয়ার সকল জ্ঞান আপনার মধ্যে চলে এসেছে। ভুল করেও এমন মনোভাব যেনো নিজের মধ্যে তৈরি না হয়। মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত শিখতে থাকে। শিখতে হয় প্রতিটা স্টেপে। একাডেমিক জ্ঞান, আর বইয়ের পাতায় লিখা হাজার লাইনের গল্প, স্ট্রাটেজি , সিস্টেম, আপনাকে যতটুকু শিখাবে, তারচেয়ে অধিক শিখাতে পারে একজন সাধারণ ব্যক্তি, যার সাথে হয়তো আপনি আজকে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট কথা বলেছেন। অথবা আপনার সামনে থাকা আপনার প্রিয় বস, অথবা সিনিয়র, জুনিয়র কোনো ব্যক্তি। যে শিখে এসেছে জীবনের প্রতিটি ধাপে কেমন করে এগিয়ে যেতে হয়।
আপনার চিন্তাশক্তি আপনাকে পরিচালিত করবে। যখন আপনি ভাববেন কাজটি সম্ভব আপনার দ্বারা। ধরে নিতে পারেন অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আর যদি ভাবেন সম্ভব নাহ। তাইলে নিজেই নিজের মাইন্ডের সাথে পেরে উঠলেন না। হেরে গেলেন প্রথমেই। আমরাই আমাদের বড় বন্ধু এবং আমরা নিজেরাই নিজেদের বড় শত্রুও।
#শাকিলআহমেদরেদওয়ান
No comments:
Post a Comment