Thursday, August 18, 2022

আমি ঘর হারা মানুষ | আমার আবার দুঃখ কিসের ? | শাকিল আহমেদ


                                    আমি ঘর হারা মানুষ!

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

মাথার উপর ছাঁদ নাই। 

বৃষ্টিতে ঝুমঝাম কইরা আকাশ থাইকা পানি পড়ে।

মেঘ দেখলে ভয় লাগে। ছেড়া কাথা কম্বল ভিজে গেলে শুকাইতে সময় লাগে। 

মেঝেতে বসতে, কাজ করতে কষ্ট হয়। 

ট্রেনের আওয়াজে রাতে ঘুম হয়না ঠিকঠাক। 

ক্ষুদার জ্বালায় অনেক রাত কাটাইছি বইসা বইসা। 

আকাশের দিকে তাকাইয়া দেখি আমার মতো অনাহারে একটা তারা চোখের পানি ছাড়তাছে। 

নিজের দুঃখ ভুইলা যাই। 

                           আমি ঘর হারা মানুষ! 

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

দুইবেলা ভাত জুটেনা বইলা নিজেরে দুঃখী কমু? 

এই সাহস আমার হয়নাই এখনো। 

দুঃখ বুঝার জন্য তো সুখ চিনতে হয়! আমি তো সুখই চিনতে পারলাম না। 

জীবনে সুখ কারে কয়, সেইটা অনুভব করার মতো অনুভুতি শক্তি তো আমার নাই। 

কেউ কখনো আমারে সুখ দুঃখ চিনাইতে আসেনাই। 

আমিও কখনো এসব শিখার জন্য স্কুল কলেজে যাইনাই।

                           আমি ঘর হারা মানুষ! 

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

ঠিক ঘর হারাও বলা যায়না। আমার আসলে কখনো ঘর ছিলো কিনা জানি না। 

পূর্বপুরুষগন কি ঘরে থেকেছেন! হয়তোবা না। কিংবা হ্যাঁ। 

তবে একটা ঘর বাধার স্বপ্ন আছে। মাটির ঘর। 

মাটির ঘরের দেয়াল উঠানো যায়। ছাঁদ ও দেয়া যায় হয়তো। 

তখন বলতে পারবো আমার মাথার উপর ছাঁদ আছে। 

মাটির ঘর তুলতে কেমন খরচ পড়বে জানা নাই। 

কই থেইকা জানুম এটার খরচ কেমন?  সেইটাও জানিনা! 

                           আমি ঘর হারা মানুষ! 

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

একটা সুখের শহর দেখার ইচ্ছা হয় মাঝেমধ্যেই। 

কিন্তু আবার ভয় পাই। যদি দুঃখ চিনে ফেলি। 

শুনেছি, দুঃখের ভয়ে মানুষ নাকি জীবন থেকে পালাইবার চায়। 

আমার জীবনে সুখ দুঃখের কোনো উপস্থিতি টের না পাইলেও মানুষের ব্যস্ততা দেইখা ভাবতে থাকি, জীবনে ব্যস্ততাই বুঝি সুখের সংজ্ঞা নিয়া আসে? নাকি দুঃখের!

রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়া ঘুরি।  ক্ষুদা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। চোখে কোনো রঙিন স্বপ্ন নাই। 

আমার একটাই ইচ্ছা, আমার মতো মানুষগুলারে যদি কোনোদিন পেট ভইরা খাওয়াইতে পারতাম! 

কিন্তু কিভাবে? 

                        আমি ঘর হারা মানুষ! 

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

অনেক মানুষের কান্নার আওয়াজ শুনি নিয়মিত।

খাবারের জন্য মারামারিও করে।

টিভিতে দেখি একজন মানুষ আরেকজনের মেরে ফেলতেছে। 

অথচ তাদের নাকি প্রচুর অর্থবিত্ত আছে।

কেউ কেউ তো শুনি নিজের মা বাবারেই মাইরা ফেলতেছে। 

আমার তো কোন টাকা পয়সা নাই। দুঃখ নাই, সুখ ও নাই।

 এসব নিয়া ভাবতেও ভালো লাগেনা। মাথার উপর বৃষ্টি ঠ্যাকানোর মতো কোনো ছাঁদ নাই।

 মানুষ বৃষ্টিবিলাশ করে আনন্দ কইরা। আমি বৃষ্টি বিলাশ করি জীবন ভাইবা। 

                        আমি ঘর হারা মানুষ!

আমার আবার দুঃখ কিসের ? 

মাথার উপর ছাঁদ নাই। বাড়ি ফেরার তাড়া নাই। যেখানে রাত, সেখানেই প্রভাত! 

তোমাদের উজ্জ্বল ভুবনে আমার মতো অন্ধকারের জায়গা নাই।  


নামঃ ঘর হারা মানুষ!

লেখাঃ শাকিল আহমেদ

Sunday, August 14, 2022

কবিতাঃ শৈল্পিক অবলোকন | Shakil Ahmed

চোখেমুখে যে বিস্ময় নিয়ে আমি তোমার দিকে তাকিয়েছি, তা সত্যিই বিস্ময়কর! 

আমার হৃদপিন্ডের সাথে হঠাত কেমন অপরিচিত মেলামেশা, ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা নিঃশ্বাসের গতিবেগ।

ঢেউ উঠে যায় ক্ষনে ক্ষনে। আমি অপলক নয়নে অবলোকন করে যাই, সূর্যের আলোর মতো ঝলসে আসে চোখ। নামিয়ে ফেলতে হয় অনিচ্ছায়।

আমার শরীর ছুঁয়ে যাও কেমন নিঃশব্দে তুমি। আমি বুঝতে পারি, টের পাই মস্তিস্কের নিউরনে কেমন করে সুখ নিঃসরণ হয়। 

আমি চোখ মেলিয়াও দেখতে পাই, চোখ বন্ধ করিয়াও আরো ভীষনভাবে অনুভবে খুঁজে পাই! 

আমার জীবনদর্শনে এমন অলৌকিক মূহুর্ত আগে হয়েছে কিনা, খুব সম্ভবত নয়! মনে পড়ছেনা। 

তোমার দিকে তাকিয়েছি আমি বারংবার, সহস্রবার। 

শিউলির মতো , গোলাপের পাপড়ির মতো ছড়িয়ে থাকা কোমলতায় ঘেরা এক আকাশ ভালোবাসা মিশ্রিত শৈল্পিক এক প্রান। 

আমি শতবার তোমারি নামে লিখিয়াছি কবিতা। তোমারি জন্য জমেছে কত শত কাব্য আর মধুমাখা গান!

চোখেমুখে যে বিস্ময় নিয়ে আমি তোমার দিকে তাকিয়েছি, হাজার বছরেও তা রয়ে যাবে অম্লান!

কবিতাঃ শৈল্পিক অবলোকন। 

১৩ই আগস্ট ২০২২

#শাকিলআহমেদরেদওয়ান #shakilahmedredwan

প্রথমবার মা/বাবা হওয়ার অনুভূতি ঠিক কেমন !

আপনার জীবনে প্রথম সবকিছুর অনুভুতি সম্পর্কে বলতে পারবেন কয়েক লাইন? প্রথম স্কুলে যাওয়া, প্রথম প্রেমে পড়া, প্রথম সাইকেল চালাতে পারা, বাইক চালাতে পারা, ইত্যাদি।

প্রথম সব কিছুর অনুভুতি অন্যরকম থাকে। যা আসলে কয়েক শব্দে প্রকাশ করে অনুভুতি বুঝানো অসম্ভব প্রায়।

নিজে যেহেতু এখনো বাবা হতে পারিনি। তবে যতটুকু বুঝতে পারি। প্রথম বাবা মা হবার অনুভুতি ঠিক সেরকম, যেমনটাঃ হাজার হাজার অপেক্ষা এবং কষ্টের পরে কোনো কিছু পাওয়া মানে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে নিজেকে কল্পনা করা। সেই মুহুর্তে আপনার জীবনের হাজার অর্জনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হয়ে দাঁড়ায় এটা।

অনেকের কাছেই এমন অভিজ্ঞতার কথা শুনতে পেরেছি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভুতির মধ্যে একটা হলো বাবা মা হবার অনুভুতি।

ফেসবুকে আমিঃ শাকিল আহমেদ রেদওয়ান

লিংকডইনে আমিঃ Shakil Ahmed

Saturday, August 13, 2022

দীর্ঘ ৪ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছেন? এবং অতীত ভুলে সুখী হয়েছে কিনা?


 আমি দেখেছি ৬ বছর নয় শুধুমাত্র। দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ভেঙেছে। এবং দুজন আলাদা হয়ে গেছে। একজন বিয়ে করে সংসার করছে। আরেকজন এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজের মতো করে।

অতীত ভুলে সুখী হয়েছে কিনা?

এটা সম্পূর্ণই আলাদা বিষয়। মনস্তাত্বিক ব্যাপার। অতীত খুব সহজে ভুলা সম্ভব হয়না। তবে আস্তে আস্তে স্মৃতিগুলো ধুসর হতে থাকে। যখন নতুন সম্পর্কে নতুন নতুন স্মৃতি যোগ হতে থাকে। সময়গুলো সুন্দর কাটে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই আগের স্মৃতি নিয়ে ভাবার সময় কম থাকে। ব্যস্ততা বাড়ে, সংসারের কাজ বাড়ে। সব মিলিয়ে যদি কেউ চায়, আগের অতীত ভুলে সামনের দিনগুলো ভালো কাটাবে। তাহলে অবশ্যই সম্ভব।

তবে, বর্তমানে এরকম লম্বা রিলেশনশীপ ভেঙে যাওয়াটা অবাক হবার মতো কিছু নয়। হরহামেশাই এমন ঘটনা ঘটছে। একসাথে থাকার পরেও সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। নতুন করে অন্য কোথাও সুখ খুজার চেষ্টা করছে নিয়মিত। লম্বা সময় কোনো বিষয় নয়। ৬ কিংবা ৯ । হতে পারে ৬ মাসের সম্পর্কেও অনেক বেশি আনন্দ আর ভালোবাসা থাকে। যেটা ছেড়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।

তাই আমার মনেহয়- সম্পর্কের বয়স দিয়ে ভালোবাসা পরিমাপ করা অসম্ভব। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সবার আগে নজর দিবেন। ধন্যবাদ।

ফেসবুকে আমিঃ শাকিল আহমেদ রেদওয়ান

লিংকডইনে আমিঃ Shakil Ahmed

Saturday, June 11, 2022

আপনি কি নিজের উপর নিজের কন্ট্রোল হারাচ্ছেন? রাগের সময় কি করছেন? নিজের জীবনকে নিখুঁত করার দায়িত্ব একান্তই নিজের।


নিজের জীবনকে নিখুঁত করার দায়িত্ব একান্তই নিজের। শুধুমাত্র আশা করে বসে থাকলেই খাবার টেবিলে নিশ্চয়ই খাবার চলে আসবেনা, তার জন্য কাজ না করলে। শুধুমাত্র কারো উপর ভরসা করে বসে থাকলে কখনোই সেটা পরিপূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়না। প্রত্যেকটি কাজেই ব্যর্থতা থাকবে। 

নিজের ইমোশনকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা যদি আপনার থাকে, রাগের মুহুর্তকে যখন সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। তাহলেই নিজের উপর অর্ধেক কন্ট্রোল আপনার চলে এসেছে। রাগের সময় নিজেকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করেন? 

জীবন যেমন চিরস্থায়ী নয়, সময় তারই একটা অংশ। তাই অবশ্যই আমাকে বুঝতে হবে কোন কাজের গুরুত্ব বেশি, আর কোন কাজের গুরুত্ব কম। সেভাবেই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহন করে এগিয়ে যেতে হবে।

কোনো কিছুতেই ওভার থিংকিং করা যাবেনা। কোনো একটা বিষয়ে এনালাইসিস করা যেতে পারে, বুঝার চেস্টা করাটা ডিফারেন্ট। কিন্তু ছোট একটা বিষয়কে কখনোই অনেক বড়ভাবে চিন্তা করে নেগেটিভ ইমপ্যাক্টের মাধ্যেমে জীবনের সহজতর চলার পথকে কঠিন করা যাবেনা। থিংকিং ইজ গুড। বাট ওভার থিংকিং কখনোই পজেটিভ নয়।

সবচেয়ে বড় যেই ব্যাপার, তা হলো- আপনার নিজের ব্যথা অন্য কেউ ফীল করতে পারবেনা। তাই অন্যের কথায় কান দিতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেললে আর খুঁজে পাবেন না। 

নিজেকে কখনোই সেই চিন্তার ধারে কাছেও নেয়া যাবেনা, যে- আপনি অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন, অনেক ডিগ্রী আপনার দখলে তারমানে দুনীয়ার সকল জ্ঞান আপনার মধ্যে চলে এসেছে। ভুল করেও এমন মনোভাব যেনো নিজের মধ্যে তৈরি না হয়। মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত শিখতে থাকে। শিখতে হয় প্রতিটা স্টেপে। একাডেমিক জ্ঞান, আর বইয়ের পাতায় লিখা হাজার লাইনের গল্প, স্ট্রাটেজি , সিস্টেম, আপনাকে যতটুকু শিখাবে, তারচেয়ে অধিক শিখাতে পারে একজন সাধারণ ব্যক্তি, যার সাথে হয়তো আপনি আজকে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট কথা বলেছেন। অথবা আপনার সামনে থাকা আপনার প্রিয় বস, অথবা সিনিয়র, জুনিয়র কোনো ব্যক্তি। যে শিখে এসেছে জীবনের প্রতিটি ধাপে কেমন করে এগিয়ে যেতে হয়। 

আপনার চিন্তাশক্তি আপনাকে পরিচালিত করবে। যখন আপনি ভাববেন কাজটি সম্ভব আপনার দ্বারা। ধরে নিতে পারেন অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আর যদি ভাবেন সম্ভব নাহ। তাইলে নিজেই নিজের মাইন্ডের সাথে পেরে উঠলেন না। হেরে গেলেন প্রথমেই। আমরাই আমাদের বড় বন্ধু এবং আমরা নিজেরাই নিজেদের বড় শত্রুও। 

#শাকিলআহমেদরেদওয়ান 

Thursday, April 28, 2022

প্রিয়শপের কাছ থেকে পাওয়া ঈদের ভালোবাসা। Token of Love from Priyoshop.com Ltd.

সংখ্যায় বা টাকায় হিসেব করে কখনো গিফটের মূল্য বিবেচনা করা যায়না! এটা যেকোন সম্পর্কের প্রতি ভালোবাসা, আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
শত প্রতিবন্ধকতা রেখেও এমপ্লয়ীদের প্রতি দায়িত্ব ভালোবাসার জায়গা থেকে #PriyoshopAdminHR টিম সবার মাঝে হ্যাপিনেস ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেছে সুন্দরভাবেই। অনেক ধন্যবাদ #প্রিয়শপকে এমন একটি সুন্দর উদ্দ্যেগের জন্য।
সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা! 


 

Wednesday, April 27, 2022

আমার হৃদয় শুধু একটা সকাল চেয়েছে। সুন্দর সকাল। দোয়েল ডাকা ভোর। বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ ভোর!

 

শালিকের ডাক শুনতাম নিয়মিত। প্রত্যেক সকালে দোয়েলের ডাকে ঘুম ভাঙতো। অনেকবছর হয়েছে দোয়েলের ডাক শুনিনা। ভুলেই গেছি প্রায়। দোয়েলের ডাক কেমন হয় মূলত। পাখিটা খুবই পছন্দের রঙ নিয়ে ঘুরাফেরা করতো। কালো আর সাদার একটা দারুণ মিশ্রন। আমার কাছে বেশ ভালোই লাগতো। বসন্তের কোকিলের ডাক ভীষন প্রিয় ছিলো। হঠাত করে দূর থেকে কোকিলের মধুর সুর কানের মধ্যে প্রবেশ করতো প্রচন্ড গতিতে। মূহুর্তেই নিজের মুখ থেকেও সেই শব্দ বের হয়ে আসতে চাইতো, কোকিলের মতো। গরমের মধ্যে বাতাসের তীব্র মিশ্রন একটা অন্যরকম পরিবেশ হয়ে চারিদিকে ঘুরপাক খেতো। নানারকম ফুলের-ফলের গ্রান ভেসে আসতো বাতাসে। আনমনে হেটে বেড়ানো রোদমাখা দুপুর সবুজ গাছের ছায়ার সন্ধান করতাম কিছুক্ষনের জন্য।

আমের মুকুলের ঘ্রান ছড়িয়ে পড়তো পুরো গ্রাম জুড়ে। ঝিঝিপোকার ডাকে অত্যাচারিত হয়ে মনে হতো কানের মধ্যে তুলো দিয়ে রাখলে কি এই ভয়ংকর শব্দ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় কিনা! আমগাছ, সুপারিগাছের শরীর জুড়ে লেপ্টে থাকতো অনেক ঝিঝিপোকার কঙ্কাল, যারা গত রাতেই কিংবা মধ্য দুপুরে চিৎকার করতে করতে জীবন দিয়েছে এরা কেনো মারা যায় আমার সে সম্পর্কে ধারণা নেই, কখনো এটা নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ হলে অবশ্যই করবো, ইচ্ছা আছে পৃথিবীতে প্রায় ৯০০শ টিরও বেশি প্রজাতির ঝিঝিপোকা চিহ্নিত করা হয়েছেএরা মূলত নিশাচর এবং উচ্চ শব্দে গান গাইতে থাকে, আর এই কাজটা মূলত করে থাকে পুরুষ ঝিঁঝিঁ, নারী ঝিঁঝিঁকে কাছে টানার জন্য এটা একটা কৌশল বটে

বর্ষায় ব্যাঙের ডাক শোনা যেত বৃষ্টি থামার পরেই কিংবা বৃষ্টি চলাকালীন সময়েআকাশ ভেঙে মেঘের গর্জন যেনো সব কোলাহল থামিয়ে দিতো মুহুর্তেই। অন্ধকারচ্ছন্ন আকাশ দিনের সূর্যকেও লুকিয়ে ফেলতো অনায়াসেই। মাঝেমধ্যেই আমার মনে হতো আকাশের এক প্রান্তে ঘর বাধি। যেইখানে দেখা যাচ্ছে সবুজের সমারোহ, আকাশকে ছুঁয়ে রেখেছে নিজেদের মতো। এমন বন্ধুত্বপূর্ণ প্রেম দেখা যায়না সচরাচর।

কোলাহল মাখা জীবনের বসন্তগুলো ফুরিয়ে যায় নিয়মিত একটু একটু করে। আমার চাঁদ দেখা নিস্তব্ধ রজনীর সেই সুন্দর সময়গুলো স্মৃতিচারণ করে কাটাতে হয়! কি সুন্দর মনোরম ছিলো সেই দৃশ্য। মনের জানালা খুলে রাখি যত্ন করে। কাক ডাকা ভোর কিংবা দোয়েলের ডাকে যদি আবার ঘুম ভাঙে কখনো। কখনো যদি টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে গুন গুন করে পছন্দের কবিতার লাইন পাঠ কিংবা এলোমেলো গানের লাইনে সুর তোলার চেষ্টা করতে পারি! আবার কখনো এমন সময় আসবে কী! জানা নেই।

কাঁচা আমের এক ধরণের গন্ধ আছে। ফুলের গন্ধের মতো নির্মলতা না থাকলেও একটা পরিচিত ঘ্রান। মনে রাখার মতো ঘ্রান। টুপটাপ শব্দ করে যখন গাছের পাতা থেকে চুইয়ে চুইয়ে পুকেরের জলে বৃষ্টির পানি অনবরত পড়তে থাকে, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও। কানে লেগে থাকে সেই শব্দ। রিমঝিম শব্দ।

বাতাসের জন্য যে সকল কবিতা, গান রচিত হয়েছে, তার সবই সুন্দর। বাতাস কখনো দেখতে পারিনাই চোখে। তবু হেমন্তের কিংবা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় ছুটে আসা বাতাস দেহ ছুঁয়ে যাওয়ার সময় যে আকূলতা নিয়ে হৃদয়ে ঢেউ তুলে যায়, কিংবা শীতের সকালের উত্তর প্রান্ত থেকে ধেয়ে আসা কঠিন বাতাস ঝাঝরা করে দেয় কলিজা, অথবা বৃষ্টি হবার পূর্ব মুহুর্তের এক মধুর হিমশীতলতা। সবকিছুতেই মুগ্ধতার ছোঁয়া।

এসব কিছুই জীবনের অবিচ্ছ্যেদ্য অংশ। এসব নোনাজল, কাদামাটি,মাটির ঘ্রান, নদীর ঢেউ, বর্ষায় দুই পাড় ঢুবে যাওয়া পুকুরের শুনশান নিরবতা, ধানের শীষে ভাসতে থাকা আবেগ, রাতের গভীরে দূর থেকে ভেসে আসা শিয়ালের ডাক। সব, এমন হাজারো ছোটবড় বিষয়গুলো জীবনে জড়িয়ে রয়েছে পুরোনো বাড়ির শ্যাওলা জমা উঠোন কিংবা দেয়ালের মতো। এসব ফেলে দিতে হয়না, ফেলতে নেই!

আমাদের শহর গড়ে উঠেছে, হাজার বছরের ঐতিহ্য আবেগ অনুভুতিকে মাথায় নিয়ে। অথবা শহর গড়ে উঠেছে ইট পাথরের কর্পোরেট ছোঁয়ায়। আমরা উন্নত হচ্ছি, এগিয়ে যাচ্ছি, বড় হচ্ছি, স্বপ্নের সীমারেখা আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। পৃথিবীর বয়স বাড়ে। আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ঘটে। আমরা মানুষ হতে চাই, অথবা মানুষের মতো নিজেদেরকে উপস্থাপন করি।আমাদের মিথ্যে মুখোশ পরিহিত থাকে। জয় পরাজয় নিয়ে চিন্তিত হই। আমরা বিপ্লব চাই। ঘরের কোনে বন্ধি হই। হাতের মুঠোয় পৃথিবীকে নিয়ে দিব্যি চায়ের কাপে ঠোঁট রাখি। গল্পে আড্ডায় মেতে উঠি। প্রকৃতির মতো করে প্রেমিক প্রেমিকার চোখে চোখ রাখি। হারিয়ে ফেলি নিজেদেরকে। স্বপ্নের ঘোরে কত কিছুই বলি। কত দিবা স্বপ্ন দেখি। একদিন সব হবে বলে সুখ কুড়াই, বা আক্ষেপ জমিয়ে রাখি।

এতকিছু করেও আমরা মাঝেমধ্যেই মানুষত্ব্য নামক কঠিন এবং অপরিহার্য বিষয়কে ভুলে যাই। পথে পথে দাঙ্গা তৈরি করি। মানুষকে কষ্টের মধ্যে রেখে নিজেদের উল্লাসে মেথে উঠার সমস্ত সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে যাই। গবেষনায় খরচ করি- মানুষ বাঁচানোর চেয়ে কিভাবে দ্রুত মেরে ফেলা যায়, প্রতিনিয়ত কষ্টের মধ্যে রেখে, সেটাই গবেষনা করে যাই। অথচ, আমরা কত সুন্দর ছিলাম। কত ভালো ছিলাম। আমরা তো ভালোই থাকতে চাই একটুখানি, আর বেশি কিছু তো চাওয়ার নেই এক জীবনে!

আমি বহুবার মন খারাপ করে একা একা হেটেছি, রাতের আলোয় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি। পানিতে দুলতে থাকা ঢেউয়ের সাথে কথা বলেছি। বারবার আমার হৃদয় শুধু একটা সকাল চেয়েছে। সুন্দর সকাল। একদম পুরোনো দিনের সেই দোয়েল ডাকা ভোর। বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ ভোর! 

 

Sunday, April 24, 2022

প্রতি মূহুর্তে এই পৃথিবীতে থেকে কেউ না কেউ বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন। চলে যাওয়ার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ।

 

প্রতি মূহুর্তে এই পৃথিবীতে থেকে কেউ না কেউ বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এবং আমরা প্রত্যেকটা মানুষ হসপিটালের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার মতো পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার যেই লম্বা লাইন রয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কেউ জানিনা- আসলে আমাদের লাইনের সামনের দিকে কতজন মানুষ রয়েছে, যারা শেষ হয়ে গেলেই আমাদের ডাক পড়বে। এটাও জানিনা আমাদের পিছনের দিকে কত মানুষ রয়েছে!
শুধুমাত্র একটা জিনিসই জানি, সেটা হচ্ছে এই লাইনের বাইরে কেউ যেতে পারবেনা, না পিছনের দিকে, না; সামনের দিকে । যতক্ষন পর্যন্ত আমার সামনের স্থান ফাঁকা না হচ্ছে, ততক্ষন সেখানেই স্থির থাকতে হবে।


আমরা যেহেতু এই একটা চিরন্তন লাইন থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিতে পারবোনা, বা কোনো সুযোগই নেই এই লাইনের বাহিরে কোথাও নিজেদেরকে আড়াল করে রাখা। সেক্ষেত্রে যতক্ষন সময় আমরা অপেক্ষমান একজন সদস্য হিসেবে আছি। নিজেদের সেই সময়টুকুর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আরেকটু সুন্দর থাকা, আরেকটু নিজেদেরকে পরিপাটি করে নেয়া উচিত।
আমরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, তখন আমাদের প্রতিটা মূহুর্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায়োরিটি লিস্ট থাকবে, যেটা সবার আগে শেষ করতে হবে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে। পৃথিবীর জন্য যে উপহার আমি রেখে যাবো, সেটা সবার জন্য যেনো কাজে লাগে।
কারো মুখে যেনো আমার দ্বারা হাসি ফুটে, সে যেন ভালো থাকে এটা নিশ্চিত হওয়া। অন্তত আমার দ্বারা কেউ যাতে কষ্ট না পেয়ে থাকে। 


মানুষকে ভালোবাসতে শুরু করতে হবে। ভালোবাসার মতো মহান আর কি আছে!
শান্তি, ভালোবাসায়, নিজের জীবনকে পরিপূর্ণ করে নিন, আশেপাশে যারা রয়েছে, তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিন।
নিজেকে এবার তৈরি করে নিন, কোনো লেনাদেনা যেনো না থেকে এই ক্ষনস্থায়ী পৃথিবীর সাথে। যারা বলে এই পৃথিবী স্থায়ী, তাদের কাছ থেকে দূরে রাখুন নিজেকে। এমনভাবে তৈরি হয়ে উঠুন, যেনো- কোনো অপরাধবোধ নেই নিজেকে নিয়ে।
বেঁচে থাকার জন্য আমরা মানুষ যে পরিমান কষ্ট করি, যুদ্ধ করি। অথচ বেঁচে থাকাটা চূড়ান্ত উদ্দেশ্য নয় আমাদের। বেঁচে থাকাটা হচ্ছে একটা এডিশনাল গিফট আমাদের জন্য। আমরা নিজেরাই যেহেতু নিজেদের জীবন উপহার হিসেবে পেয়েছি, এটাকে আদর যত্নে অন্য মানুষদের জন্যও কিছু উপহার তৈরি করে রেখে কিভাবে দূশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে পৃথিবী থেকে চলে যাবার চূড়ান্ত লাইনে দাড়াতে পারবো, সেই প্রত্যাশাই থাকুক।

Thursday, January 6, 2022

স্বপ্ন যেনো না হয় ফাঁদ | বিশ্বাস করুন বুঝে শুনে যুক্তির মাধ্যমে | আপনিও কি লোভের চক্রে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে পারেন ভুলবশত?

মানুষ স্বপ্ন দেখে, বিশ্বাস করে, আপনিও হয়তো স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেতে পারেন, বা লোভের চক্রে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে পারেন ভুলবশত। যেখান থেকে চাইলেও বের হতে পারবেন না একবার ঢুকে গেলে। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে সাবধানে পথচলা নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় কি? । স্বপ্ন কে কখন কাকে কেনো দেখায়? সেই প্রশ্নের উত্তর সবসময় না খুজলেও কিছু সময় সেটা বুঝতে হয়, খুজতে হয়। যখন নিজের ব্যক্তি জীবনের পরবর্তী সময়ের দৃশ্য কেমন হবে সেই স্বপ্নের ফাঁদে পা দেয়ার পরে, সেটা ভাবতে গেলে। আপনি যে স্বপ্নটা দেখতে যাচ্ছেন, সেটা অন্য কেউ পূরণ করে দিবে ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া? হয়তোবা আপাতদৃষ্টিতে তা মনে হতেই পারে। কিন্তু আমরা অনেক ধরণের অদৃশ্য খরচের কথা জানি, যেসব আমাদের কল্পনায় ছিলোনা, বা চিন্তাও করিনাই। তবুও সেসব হয়ে যায়। তেমনি, আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্য যত ধরণের মিষ্টি প্রলোভন আছে, সবকিছুই উপস্থাপিত হবে খুব সুন্দরভাবে। যখন এসব চাকচিক্যের দৃশ্য সামনে ভেসে উঠে, কাল্পনিক কিংবা বাস্তবে, মানুষের মস্তিস্ক ডোপামিন নিঃসরণ করে সুখের, আকাঙ্খার, পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তখনি কেউ কাউকে খুব দ্রুতই সেই অন্ধকার ট্রাপ ফাঁদ জগতের প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়! 

আর একবার কেউ যখন নিজের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, তখন সেটা রেললাইন থেকে ট্রেনের ছিটকে পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি করাটা খুব বেশি অবাক করার বিষয় হয়না। বরং দূর্ঘটনা বরণ করার জন্যই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হয়। 



স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে আকাশ ছুয়ে আসুন। সিড়িটা যেনো দ্রুতগতির না হলেও স্ট্যাবল হয়। যেখানে কনফিডেন্স থাকে। ভেঙে যাওয়ার ভয় না থাকে।

আমরা ছোটবেলায় মাছ শিকার করতাম, মাছকে ফাঁদে ফেলার জন্য বর্শীতে যে খাবার ব্যবহার হতো তা অনেকসময়ই মিষ্টি জাতীয় খাবার। তেলাপোকা ,ইদুর মারার জন্য খাবারে বিষ মিশানো, আর সেসব খাবার ও যে মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকতো।

এসব ছোট ছোট বিষয় বলার উদ্দেশ্য একটাই- পৃথিবীতে এ যাবতকাল যত ধরণের বড় বড় প্রতারণামূলক অপরাধ কর্ম সংঘটিত হয়েছে। তার প্রত্যেকটার সাথে কয়েকটি জিনিসের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। এম এল এম বিজনেস সম্পর্কে যাদের আইডিয়া আছে, তাদের এ বিষয়টা বুঝতে সুবিধা হবে খুব দ্রুত। আর একটু সুক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে সাধারণ যে কেউ বুঝতে পারবে। 

যে জিনিসগুলোর জন্য মানুষ ফাঁদে পড়ে, ফাঁদে ফেলতে পারে। প্রতারণার জন্য একটা রাস্তা তৈরি করতে পারে। 

তা হলো- 

  • স্বপ্ন দেখানো/ চাকচিক্যময় স্বপ্ন। 

  • লোভ, চাকচিক্যময় স্বপ্নের লোভে পড়া। 

  • অন্ধবিশ্বাসের মতো কঠিন রোগ। 


একটু চিন্তা করলেই দেখবেন। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়তই দেখি, নিউজপেপার পড়ে জানতে পারি। কত ধরণের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। একটা স্কুল বাচ্চাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বাসায় নিয়ে **** করেছে অমুক। এটা একটা অপরাধ। এটা যে ঘটিয়েছে তার পেছনের গল্পতে আমি যেতে চাচ্ছিনা। 

আমি শুধুমাত্র এই অপরাধটা সফলভাবে সংঘঠিত হবার পেছনের একটা কারণ দেখতে পাচ্ছি। সেটা হলো “লোভ” । একজন লোভ দেখিয়েছে, ভিকটিম সেই লোভে পড়েছে। এরপর অপরাধী তার চরিতার্থ  সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

এটাও বাদ দিলাম। এরপরে আমাদের সামনে আসে আধুনিক সময়ের অনেক ধরণের প্রতারণার ফাঁদ। আমরা সেসবে জড়িয়ে যাচ্ছি ভিকটিম হিসেবে। কেউ আমাদেরকে বললো একবছরের মধ্যে আপনি কোটিপতি হবেন, শুধুমাত্র এক্স এমাউন্টের কিছু টাকা দিয়ে। যা আপনার সাধ্যের মধ্যেই থাকবে। এবং আপনি আমি সেই ফাঁদে পড়ে তাদের দেখানো পথে পা বাড়াই। একটা সময় গিয়ে দেখা গেলো যা যা তারা বলেছে,  তারা আমাদেরকে দেখায় স্বপ্ন, আমরা লোভের আগ্রাসনে আটকে যাই। লোভ আর স্বপ্নের কম্বিনেশনে আবারো একটা প্রতারণামূলক অপরাধ সংঘটিত হয়। আল্টিমেট বিষয়টার সামারি আপ করলে আমরা দেখতে পাই- যেকোন আপরাধ সংঘঠিত হবার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় একত্রে কাজ করে। 

ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ। 

স্বপ্ন, আর লোভ। 



ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ: এই স্বার্থ জিনিসটা আমাদেরকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। যা আমরা হয়তো কখনো ঠান্ডা মাথায় চিন্তাও করিনা। আমরা অন্ধভাবে হোক, ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক। কেবলমাত্র চাই- আমাদের ভালো হোক, আমাদের উন্নতি হোক, আমাদের সব হোক। মোটকথা “আমাদের হোক” এই বৃত্তের মধ্যে আটকে থাকি। যখন শুধুমাত্র আমাদের মধ্যেই আটকে থাকি। তখন আসলে অন্যদের কি হবে, হচ্ছে, সেই ব্যাপারে ভাবার খুব একটা আগ্রহ থাকেনা। অন্যের ক্ষতি হোক কিংবা কষ্ট হোক। এসবে আমাদের কোনো মাথাব্যথা হয়না। আমরা নিজেদের অজান্তেই হয়ে উঠি মানুষের মাঝেই এক ধরণের হিংস্র মানুষ। 


স্বপ্ন দেখার কোনো লিমিটেশন নাই। কথাটা যুক্তিযুক্ত থাকলেও স্বপ্ন দেখার কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে। যা আমাদেরকে অবশ্যই জেনে বুঝে তারপরই দেখতে হবে। এমন অলীক সব স্বপ্ন দেখা যাবেনা, যেটা আমাকে অপরাধের মুখোমুখী নিয়ে দাড় করাতে পারে। প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জীবনকে অন্ধকার করতে পারে। 

জীবনে অনেক বড় স্বপ্ন দেখুন, সেসব পূরণের জন্য জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম করে যান সঠিক উপায়ে। আপনার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব শুধুই আপনার। অন্য কেউ যখন সেটা পূরণ করতে যাবে, মনে রাখবেন- সে হয়তো তারই স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই আপনাকে বেছে নিচ্ছে। এখানে একটা জটিল সমীকরণ আছে। একটু বিষদভাবে ভাবতে হবে। 

কিন্তু এটুকু অন্তত বুঝতে শিখুন- আপনার নিজের স্বপ্নটা প্রথমত একান্তই নিজের। যদি হুট করেই অন্য কেউ সেটা আপনার হাতে দিয়ে দিতে চায়, যেটা আসলে এত সহজে হাতে আসার কথা নয়। তাহলেই দাড়ান! একটু চিন্তার দরজা খুলে খোলা আকাশের দিকে তাকান। কিছু প্রশ্নের উত্তর ঠান্ডা মাথায় ভেবে বের করুনঃ  যদি কোনো সদুত্তর খুজে পান, তাহলে এগিয়ে যান, যদি না পান, আবার ভাবুন , যদি তাও না পান। স্টপ- 



একটা জিনিস মাথায় রাখুন- আপনি আমি কেউই কোন ধরণের ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া কোনো কার্য সম্পাদনে অগ্রসর হইনা। 

যদি সেটা হয় বাবা মায়ের ভালোবাসাও। বাবা মা সন্তানকে ভালোবেসে মানসিক শান্তি উপভোগ করে। ভালোলাগা কাজ করে। আর এজন্যই সন্তানকে ভালোবাসে। 

যেখানে বাবা মা সন্তানের ভালোবাসার মধ্যেও কিছু একটা স্বার্থ আছে। হোক সেটা আর্থিক বা মানসিক। সেখানে পুরো স্বার্থপর দুনীয়া থেকে বিনা স্বার্থে কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা পোষন করাও অন্যায়। নিজের যেটুকু আছে সেটুকু নিজ স্বামর্থ্যে গড়ে তোলার চেস্টা অব্যাহত রাখুন।


বিশ্বাস করুনঃ যা দেখেন, না দেখেন। কিন্তু বিশ্বাস করার পেছনের যুক্তিগুলোও বুঝুন, জানুন।  কারণ পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই রয়েছে। যেখানে বিশ্বাসের ভুমিকা অপরিসীম। 

অন্ধবিশ্বাসের পর্যায়গুলো বিবেচনা করুন। না জানলে জানার উপায় বের করুন। নিজের সেইফটির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন। এরপরেও মানুষ ভুলের নূন্যতম উর্ধ্বে নয়। ভুল করা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ঠ্য। তবুও ভুলের পরিমান এমন লেভেলেই রাখার চেস্টা করা উচিত। যেখান থেকে একচুয়ালি উঠে দাঁড়ানো যায়। একেবারেই  যেনো হারিয়ে যেতে না হয়। প্রয়োজনে সন্তুষ্ট হবার শক্তি বাড়ান। তবুও ভুল পথে যেনো পা বাড়াতে না হয়।



মিস্টি স্বপ্নের জালে আটকা পড়ে নিজের সুন্দর স্মৃতিগুলো যেনো ধূসর না হয়! জীবনকে উপভোগ করতে গিয়ে এমন জটিল চক্রে যেনো আটকে না যাই, যেখান থেকে বের হবার জন্য দমবন্ধ হয়ে আসলেও আর বের হওয়া সম্ভব হয়না, শুধুমাত্র দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে বাঁচতে হয়! সবার জন্য শুভকামনা। সবগুলো সিদ্ধান্ত সুন্দর হোক।


শাকিল আহমেদ।

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার, প্রিয়শপ ডটকম লিমিটেড।