সময়কে গুরুত্ব দেয়ার অনেক অনেক লিখা, কনটেন্ট, বই আমরা প্রতিনিয়ত পড়ি, শুনি।
কিন্তু সময়কে কত দ্রুত গুরুত্ব দিতে হবে। সেটা বুঝতেই আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায়।
রিয়েল লাইফ এক্সাম্পলে যদি আসা যায়। তবে আরো সহজে বুঝা সম্ভব!
একজন রিক্সাওয়ালার কাছে গিয়ে ভাড়া জিজ্ঞেস করা হলো। সে ভাড়া চাইলো। তারচেয়ে আপনি কিছু কম বললেন। কিন্তু তাতে সে রাজি না হওয়াতে অন্য একজন রিক্সা নিয়ে আপনার কাছে এসে দাড়ালো কিংবা ডাক দিলো। ভাড়া চাইলো আগের জনের সমান। এখন সে বুঝতে পারলো আপনি কম বলবেন, এবং দ্বিতীয়জন রাজি হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। তাই প্রথমজন দ্রুত বললো মামা আসুন। মানে আপনি যা বলেছেন সেটাতেই আমি রাজি। সোজা কথা যখন কম্পিটিশনের মার্কেটে যাবেন। বুঝতে পারবেন টাইমিং ডেলিভারি কি জিনিস!
ক্রিকেট খেললে বুঝতে পারবেন, টাইমিং ডেলিভারি কি জিনিস। কয়েক সেকেন্ডের এদিক সেদিক করা যাবেনা। করলেই অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটতে পারে।
ঢাকা শহরে রাস্তা পার হবেন?
কয়েক মিনিট অপেক্ষা না করে যদি হুটহাট দৌড় দেন। তাহলে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়!
চা খাচ্ছেন? অবস্থা বুঝে আস্তে আস্তে টাইমিং মিলিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেয়া লাগবে! নাহয় ঠোট জিভ পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক!
খেয়াল করে দেখবেন, জীবনে চলার জন্য প্রতি প্রত্যেকটা মুহুর্তে আপনাকে একটা টাইম ফ্রেমিং এর মাধ্যেমে এগুতে হবে। এক লাফে উপরের সিড়িতে উঠে যেতে পারবেন না! সময় নিয়ে সিস্টেম অনুযায়ী একটা একটা করেই ধাপ পার করতে হবে।
মাউসে একটা ক্লিক করলে আগে পরে কিংবা ঠিক এক্সাক্ট টাইমিং মিলিয়েই ক্লিক করতে হয়।
বাইক চালাচ্ছেন?
কতদুর থেকে ব্রেকে পা রাখবেন, কোথায় গিয়ার কমাবেন, বাড়াবেন সবকিছু টাইমিং ম্যাচ না করলে দূর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক!
আমরা সবাই এই সাধারণ সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করলেও অনেকেই বুঝতে পারিনা আসলে কি ঘটছে আমাদের সাথে!
আমার আরো পাঁচ বছর আগে ইংরেজিতে পান্ডিত্য নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নেইনি। এখন এসে যদি চাই এখনি হয়ে যাক। তাহলে হবেনা। অবশ্যই সঠিক প্লান এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করে নিজেদের জীবনকে নিয়ে যতে হবে অনন্য উচ্চতায়!
আপনার যে কাজ মন থেকেই ভালো লাগেনা! সে কাজে জোর করে সময় দিয়ে সময়কে শুধু নষ্টই করছেন! এর বেশি কিছুনা!
যে কথাটা কয়েক সেকেন্ড পরে বলা উচিত, সেটা যেনো কয়েক সেকেন্ড পরেই হয়। যদি আগে বলে ফেলেন। তবে পালটে যেতে পারে পুরো কনভারসেশনের অর্থ।
চোখ কান খোলা রাখা উচিত সবজায়গায়!
আমাদের আশেপাশে তাকালে এমন শত শত উদাহরনের সাক্ষী আমরা প্রতি মুহুর্তে হয়ে থাকি। যা আমরা কখনোই এভাবে উপলব্ধি করিনা।
সূর্য সকালে উঠে, বা সূর্য উঠলেই সকাল হয়। যদি দুপুরের পরে সূর্য উঠে তখন কি সেটা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়বে? অবশ্যই না!
সকালের খাবার কখনোই একসাথে দুপুরে কিংবা রাতে খাওয়া যাবেনা।
সময়ের কাজ সময়ে জমা না দিলে, শেষ না করে জমিয়ে রাখলে একটা সময় আর সেটা করতে ইচ্ছে হবেনা। মনে হবে স্তুপ জমে গেছে। না করাই শ্রেয়।
তাই আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত অনেক দামী, এবং অবশ্যই সময়কে আরো বেশি গুরত্ব দেয়া শিখতে হবে!