Wednesday, December 16, 2020

বিজয় দিবসে অন্য সংস্কৃতি নিয়ে উল্লাস!

বিজয় দিবসে হিন্দি গান বাজিয়ে ড্যান্সের পার্টি করা! পিছনে বড় ব্যানারে ঝুলছে "মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা" 

আসলে আমরা নামের দেশপ্রেমিক সেটা বোঝাই যাচ্ছে! হুজুগে বাঙালী কথাটা এমনে এমনেই আসেনি।


যখন কেউ বলে বাঙলা আমার মায়ের ভাষা, আমি বাঙলা ভালোবাসি! তখন মনেহয় তোমার মনেও ইংরেজীর প্রেম উথলে উঠতেছে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে! "আই লাভ মাই কান্ট্রি" 

,

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা নিজেদের দেশকে যতটা না ভালোবাসতে পেরেছি, তারচেয়ে বেশী ভালোবেসে ফেলেছি অন্যদেশের সংস্কৃতি, সভ্যতাকে! আমরা নিজেদের ঐতিহ্য, সম্মান, সংস্কৃতির কথা যতটা বলি, তারচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকে অন্যদেশের।

আমরা যখন বাংলায় কোন একটা জিনিসের নাম বলি, সেটাকে ইংরেজীতে বললে বেশি স্মার্ট মনেহয়! 

,

শুদ্ধ করে বাংলা বলতে না জানা অনেক লোকই হিন্দি কিংবা অন্য ভাষায় পারদর্শী রয়েছেন! হ্যাঁ, অন্য ভাষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা, জানাটা অন্যায় নয়! তবে তখনি খারাপ লাগে, যখন নিজেরাই নিজেদের দেশটাকে ভালোবাসতে পারিনা মন থেকে।

,

বিজয়ের উল্লাসে হারিয়ে গিয়ে নিজেদের শেকড় ভুলে গেলে চলবে কি করে! আগে নিজেকে ভালবাসতে হবে, নিজের দেশকে, নিজের দেশের মানুষ, সংস্কৃতি সভ্যতা , এরপরেই অন্যসব! 


 

Sunday, November 29, 2020

People want to talk to people, not brands.

 People want to talk to people, not brands.



সোজা বাংলায় বলতে গেলে, মানুষ আসলে মানুষের সাথেই সম্পর্ক তৈরি করতে চায় কিংবা কথা বলতে চায়, মানুষের কাছ থেকেই সার্ভিস নিতে চায়! কোন ব্রান্ড মূলত সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারেনা, মানুষকে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন না করে।  

,

আমি কাস্টমার হিসেবে সবসময়েই আশা করবো আমি যার কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছি তার  কাছে আমার প্রায়োরিটি আমার মতো আলাদা হোক, সবার সাথে আমি যাতে মিক্সড হয়ে না যাই। আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে এটা যদি বুঝতে না পারি, কিংবা আমি যদি মনে করি সার্ভিস প্রোভাইডার আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা, তখন আমি ইছায় কিংবা অনিচ্ছায় সেই সার্ভিস প্রোভাইডারের অলটারনেটিভ খুজতে শুরু করবো! যার কাছে একচুয়ালি আমি ভ্যালু পাবো, যে আমাকে গুরুত্ব দিবে!

,

কাস্টমার সার্ভিসকে যখন রোবটিক করে ফেলবো, তখন আসলে মানুষ সেভাবে গ্রহন করতে পারবেনা। 

হিউম্যান ইন্ট্যারেকশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

,

আমাকে যদি কোন কোম্পানি থেকে সার্ভিস ফীডব্যাক নেয়ার জন্য রোবটিক সিস্টেমে কল করা হয়, সেটাকে আমি গ্রহন করতে পারিনা!

কারণ সেখানে আসলে কোন হিউম্যান ইন্ট্যারেকশন কিংবা অনুভুতির জায়গাটা খুজে পাইনা, এটা আসলে সাইকোলজিক্যালি আমাদের মাইন্ডে সেট করা রয়েছে হয়তোবা! 

,

মানুষ মানুষকে বিলিভ করতে শিখে, মানুষ কমিটমেন্ট পছন্দ করে! 

Sunday, November 1, 2020

৫০% ক্যাশব্যাক, 2x ভাউচার, ১১ টাকায় আইফোনসহ আকর্ষনীয় আরো সব অফার।

আচ্ছা অফার কিংবা উপহার, অথবা সারপ্রাইজ পেতে কার ভালো না লাগে?
আসছে আপনার জন্য বিশাল অফার, শুধুমাত্র একদিনের জন্য। ১১ই নভেম্বর ২০২০ । 
লক্ষাধিক পন্য থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় পন্যটি সবচেয়ে কম মূল্যে। 

১১.১১ সপাথন 11.11 SHOPATHON


অনেক খারাপভাবে শুরু হয়েছিলো এ বছরটা তাইনা? পুরো বছর জুড়ে নানানরকম ঝামেলা, হারিয়ে ফেলার আর্তনাদ, হাহাকার, বিষাদময় পুরো দুনীয়া! কিন্তু তবুও থেমে নেই সময়। সময়ের চাকা তার নিয়মে চলছে দিবারাত! পাওয়া না পাওয়ার হিসেবের চাইতে বরং বেঁচে থাকাটাই মূখ্য হয়ে উঠেছে! মৌলিক চাহিদার বাইরে যেনো আর কোন চাওয়া থাকতেই পারেনা! 
এসব কিছুকে পাশ কাটিয়ে বিষাদময় বাজে মুহুর্তগুলোকে একটু আলাদাভাবে প্রান ফিরিয়ে দেয়া, মানুষের কাছাকাছি গিয়ে সেবা পৌছে দেয়ার জন্য প্রিয়শপ ডট কম কাজ করে যাচ্ছে দশগুন শক্তি সঞ্চয় করে। এ বছরেই নিয়ে এসেছে সবচেয়ে বড় বড় ডিলগুলো।

তারই ধারাবাহিকতায় আবারো শুরু হতে যাচ্ছে  ১১.১১ সপাথন। 
শপিং করতে পারবেন ইচ্ছামতো সবচেয়ে সহজে এবং ঝামেলামুক্তভাবে। 
যেখানে থাকছে 
৫০% ক্যাশব্যাক, 2x ভাউচার, ১১ টাকায় আইফোনসহ আকর্ষনীয় আরো সব অফার। 

এই অফারগুলো শুধু আপনি একাই উপভোগ করবেন? নাহ একদমই উচিত হবেনা। কারণ আপনার বন্ধুও যদি এই অফার উপভোগ করতে পারে, তবে আপনার তো কোন ক্ষতি নেই! 
একঘেয়েমি লাইফে নিয়ে আসুন নতুনত্ব অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে। 


আপনার অনলাইন শপিং আরো সুন্দর এবং ঝামেলাবিহীন করতে এখনি ডাউনলোড করুন প্রিয়শপ ডট কম এর  অ্যাপ: 

Click Here For Download

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন প্রিয়শপ ডট কম এর ফেইসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে। 




"PriyoShop.com 11.11 SHOPATHON"!

Friday, October 16, 2020

সোস্যাল মিডিয়ায় কিভাবে যোগাযোগ রাখবেন কাস্টমারের সাথে?

সোস্যাল মিডিয়ায় কিভাবে  যোগাযোগ রাখবেন কাস্টমারের সাথে?



সোস্যাল মিডিয়ায় যেকোন ব্রান্ড থেকে খারাপ সার্ভিস পাওয়া ৫৬% কাস্টমার ওই ব্রান্ডকে সোস্যাল মিডিয়ায় আনফলো করে থাকে। 

,

৪০% কাস্টমার সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রান্ড/কোম্পানিকে/সার্ভিস প্রোভাইডারকে কোন কমপ্লেইন জানানোর পরে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার মধ্যেই রেসপন্স আশা করে। 

,

সোস্যাল মিডিয়ায় কাস্টমারের সাথে সরাসরি ইন্টারেক্টিভ  কমিউনিকেশনের একটা অসাধারণ প্লাটফর্ম! এখানে কনজিউমার সর্বোচ্চ স্বাধীনতা এবং ইমোশন নিয়ে ব্রান্ডের সাথে কমিউনিকেট করতে পছন্দ করে। এবং এক্সপেক্টেশন লেভেল থাকে উচ্চ পর্যায়ে! 

সোস্যাল মিডিয়ায় কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশনের সময় কোনভাবেই যেন এটা প্রকাশ না পায়, আপনি কাস্টমারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না! যদি এটা প্রকাশ পেয়ে যায় কোনভাবে, তবে সেই কাস্টমারকে আর আপনার কাস্টমার বলার সাহস এবং কনফিডেন্স শেষ হয়ে যাবে। কারণ- কাস্টমারের কাছে অনেকগুলো অপশন থাকার পরেও সে আপনার কাস্টমার হয়েছে তার মানে এই নয়, সে আপনারই থাকবে! 

আপনার সোস্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি দেখেই সে আপনার সাথে লং জার্নির পরিকল্পনা করতে পারে, আবার সোস্যাল মিডিয়ার এক্টিভিটির জন্যই মুহুর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। 

Friday, October 9, 2020

সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে সঠিক সময়ে!

সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে  সঠিক সময়ে!
সময়কে গুরুত্ব দেয়ার অনেক অনেক লিখা, কনটেন্ট, বই আমরা প্রতিনিয়ত পড়ি, শুনি। 

কিন্তু সময়কে কত দ্রুত গুরুত্ব দিতে হবে। সেটা বুঝতেই আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায়। 

রিয়েল লাইফ এক্সাম্পলে যদি আসা যায়। তবে আরো সহজে বুঝা সম্ভব! 

একজন রিক্সাওয়ালার কাছে গিয়ে ভাড়া জিজ্ঞেস করা হলো। সে ভাড়া চাইলো। তারচেয়ে আপনি কিছু কম বললেন। কিন্তু তাতে সে রাজি না হওয়াতে অন্য একজন রিক্সা নিয়ে আপনার কাছে এসে দাড়ালো কিংবা ডাক দিলো। ভাড়া চাইলো আগের জনের সমান। এখন সে বুঝতে পারলো আপনি কম বলবেন, এবং দ্বিতীয়জন রাজি হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। তাই প্রথমজন দ্রুত বললো মামা আসুন। মানে আপনি যা বলেছেন সেটাতেই আমি রাজি। সোজা কথা যখন কম্পিটিশনের মার্কেটে যাবেন। বুঝতে পারবেন টাইমিং ডেলিভারি কি জিনিস! 

ক্রিকেট খেললে বুঝতে পারবেন, টাইমিং ডেলিভারি কি জিনিস। কয়েক সেকেন্ডের এদিক সেদিক করা যাবেনা। করলেই অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটতে পারে।

ঢাকা শহরে রাস্তা পার হবেন? 

কয়েক মিনিট অপেক্ষা না করে যদি হুটহাট দৌড় দেন। তাহলে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়! 

চা খাচ্ছেন? অবস্থা বুঝে আস্তে আস্তে টাইমিং মিলিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেয়া লাগবে! নাহয় ঠোট জিভ পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক! 

খেয়াল করে দেখবেন, জীবনে চলার জন্য প্রতি প্রত্যেকটা মুহুর্তে আপনাকে একটা টাইম ফ্রেমিং এর মাধ্যেমে এগুতে হবে। এক লাফে উপরের সিড়িতে উঠে যেতে পারবেন না! সময় নিয়ে সিস্টেম অনুযায়ী একটা একটা করেই ধাপ পার করতে হবে। 

মাউসে একটা ক্লিক করলে আগে পরে কিংবা ঠিক এক্সাক্ট টাইমিং মিলিয়েই ক্লিক করতে হয়।

বাইক চালাচ্ছেন? 

কতদুর থেকে ব্রেকে পা রাখবেন, কোথায় গিয়ার কমাবেন, বাড়াবেন সবকিছু টাইমিং ম্যাচ না করলে দূর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক! 

আমরা সবাই এই সাধারণ সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করলেও অনেকেই বুঝতে পারিনা আসলে কি ঘটছে আমাদের সাথে! 

আমার আরো পাঁচ বছর আগে ইংরেজিতে পান্ডিত্য নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নেইনি। এখন এসে যদি চাই এখনি হয়ে যাক। তাহলে হবেনা। অবশ্যই সঠিক প্লান এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করে নিজেদের জীবনকে নিয়ে যতে হবে অনন্য উচ্চতায়!

আপনার যে কাজ মন থেকেই ভালো লাগেনা! সে কাজে জোর করে সময় দিয়ে সময়কে শুধু নষ্টই করছেন! এর বেশি কিছুনা! 

যে কথাটা কয়েক সেকেন্ড পরে বলা উচিত, সেটা যেনো কয়েক সেকেন্ড পরেই হয়। যদি আগে বলে ফেলেন। তবে পালটে যেতে পারে পুরো কনভারসেশনের অর্থ।

চোখ কান খোলা রাখা উচিত সবজায়গায়! 

আমাদের আশেপাশে তাকালে এমন শত শত উদাহরনের সাক্ষী আমরা প্রতি মুহুর্তে হয়ে থাকি। যা আমরা কখনোই এভাবে উপলব্ধি করিনা।

সূর্য সকালে উঠে, বা সূর্য উঠলেই সকাল হয়। যদি দুপুরের পরে সূর্য উঠে তখন কি সেটা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়বে? অবশ্যই না! 

সকালের খাবার কখনোই একসাথে দুপুরে কিংবা রাতে খাওয়া যাবেনা।

সময়ের কাজ সময়ে জমা না দিলে, শেষ না করে জমিয়ে রাখলে একটা সময় আর সেটা করতে ইচ্ছে হবেনা। মনে হবে স্তুপ জমে গেছে। না করাই শ্রেয়।

তাই আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত অনেক দামী, এবং অবশ্যই সময়কে আরো বেশি গুরত্ব দেয়া শিখতে হবে! 


Tuesday, October 6, 2020

বাংলাদেশের ই-কমার্সে ভিজিটরের দিক দিয়ে শীর্ষ ৪ এ রয়েছে প্রিয়শপ ডট কম লিমিটেড।

 

ভিজিটরের দিক থেকে শীর্ষ ৪ এ আছে প্রিয়শপ ডট কম

বাংলাদেশে কিছুদিন আগেও মানুষ আসলে ই কমার্স কে এত বেশি গুরুত্ব দেয়নি। যতটা এখন দিচ্ছে। 

কিন্তু যারা আগে থেকেই এই ইন্ডাষ্ট্রীতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। টপ লেভেলের কয়েকটি ই কমার্স এর মধ্যে প্রিয়শপ ডট কম অন্যতম! 

যারা সবসময়েই কাস্টমার কেন্দ্রিক সেবা দেয়ার জন্য নিজেদেরকে একধাপ এগিয়ে রাখছে। 

সম্পূর্ণ টার্মস এন্ড কন্ডিশন, সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর জায়াগাটাতে সবার আগে কাস্টমারকে বিবেচনা করে তৈরি করা হয় সব কিছু। যাতে প্রিয়শপ সবার প্রিয় হয়ে উঠে। 

তারই ধারাবাহিকতায় কাস্টমার সেবা দিয়ে আসছে ২০১৩ সাল থেকে। যখন কিনা বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটা ই কমার্স ছিলো! 

প্রত্যেকটা কনজিউমারকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নিজেদের জায়গা দখল করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক এই দেশীয় ই কমার্স  প্রতিষ্ঠান । দেশী বিদেশী বহু সম্মাননা পদক নিয়ে শক্ত করেছে নিজেদের পথচলাকে। 

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইটের  দিক থেকে ৮৫ তম র‍্যাংকিং এ রয়েছে প্রিয়শপ ডট কম লিমিটেড।


তবে বাংলাদেশের ই-কমার্স দুনীয়ায় প্রিয়শপের  অবস্থান কোথায়  রয়েছে? 

According to Alexa Ranking Number 4 , E-commerce in Bangladesh is Priyoshop.com LTD . 


ভিজিটরের দিক দিয়ে শীর্ষ ৪ এ রয়েছে প্রিয়শপ। 

প্রথমে আছে দারাজ -১৭

তারপর ইভ্যালি  - ৮০

তারপর চালডাল - ৮৩


#onlineshopping #Priyoshop #onlineshoppinginbangladesh

ভিজিটরের দিক থেকে  শীর্ষ ৪ এ আছে  প্রিয়শপ ডট কম








 


 

Monday, October 5, 2020

বৃত্তের মাঝে বন্ধি আমরা! অথচ আমরা গ্লোবালাইজেশন এর যুগে বসবাস করছি!



বৃত্তের মাঝে বন্ধি আমরা!

আমাদের ব্যক্তিগত জীবন,সামাজিক জীবন,  সোস্যাল মিডিয়ার এক্টিভিটি,  সবজায়গায় একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ!  

আপনি হয়তো ভাবছেন কি পাগলের মতো বলছি! গ্লোবালাইজেশন এর এই যুগে কেউ বৃত্তের মধ্যে বন্ধি থাকে!  ইম্পসিবল!  এটা কোনভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।

,

কিন্তু আপেক্ষিক দৃষ্টিতে দেখতে গেলে আমরা এমন এক জায়গায় এসে দাড়িয়েছে।  আমাদের চিন্তাভাবনা এমন ছোট হয়ে আসছে যে আমরা নিজেরাও তা উপলব্ধি করতে পারছিনা! 

আপনার কতজন ফ্রেন্ড? রিয়েল লাইফে এবং সোস্যাল মিডিয়া মিলিয়ে? 

আপনি প্রতিনিয়ত সকাল থেকে সন্ধ্যা কার কার সাথে আপনার চিন্তাভাবনা শেয়ার করছেন?  কার অনুভুতির কথা শুনছেন? 

ভাবুন তো --- 

,

ভাবতে কষ্ট হচ্ছে? 

সিম্পল,  আজকের দিনের হিসেবটা একটু করুন।  হ্যাঁ আজকের দিনের। 

আপনি কার সাথে কি কথা বলেছেন,  মনে করার চেস্টা করুন!  

এটাও কষ্টের?  

আচ্ছা বাদ দিলাম সব। 

চলুন একটু অন্যভাবে দেখি বিষয়টি।

আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা টুকটাক লিখালিখি করে থাকে। 

আমি ফেইসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করলেই এ ধরনের লিখা দেখি, পড়ি,  মন্তব্য করি!  

,

আমার কাছে বেশ কিছু টার্গেট এড আসে, টেকনোলজি রিলেডেট। কারণ আমি তাদের টার্গেট অডিয়েন্স, এসব বিষয়ে ইন্টারেস্ট থাকার কারণে! 

আমার কাছে সোস্যাল মিডিয়াকে কি মনেহয় জানেন? 

লিখালিখি করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার একটা মাধ্যম! 

আপনার কাছে কি মনেহয়?  চিন্তা করেছেন কখনো? 

এর বাইরেও এখানে অনেক অনেক বেশি কিছু হয়,  যা হয়তো আমি আপনি কখনো চিন্তাও করিনা। 

কারণ আমরা একটা বৃত্তের মধ্যেই আটকে আছি। 

রিয়েল লাইফে কি করেন? 

,

প্রতিদিন কর্মস্থলে যান, পরিচিত মানুষজনের সাথে কথা হয়, তাদের চিন্তাভাবনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।  আপনার কাছে লাইফ বলতে এটাই সবার আগে ভেসে উঠে মানসপটে!  

অথচ জীবন মানে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আলাদা আলাদা সংজ্ঞা।  সামগ্রিক ভাবে যুদ্ধ!

এখানেও আমরা,  আমাদের চিন্তাভাবনা একটা বৃত্তের মাঝে বন্ধি! 

অথচ আমরা গ্লোবালাইজেশন এর যুগে বসবাস করছি! 

Saturday, October 3, 2020

সফলতা পেতে চান? তবে কাজ করুন ভালোলাগা খুজে নিয়ে!

 



সারা দুনীয়ায় যারাই সফল হয়েছে, সকলেই তাদের প্যাশন/ভালোলাগাকে আকরে ধরে এগিয়ে গিয়েছে বলেই সফলতা পেয়েছে! এমন একজনকেও খুজে পাওয়া যাবেনা যে ভালোলাগা থেকে কাজ না করে জোর করে কাজ করে দুনীয়ার সফল ব্যক্তিদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে!  সফলতা যদিও আপেক্ষিক , তবুও নিজের ভালোলাগা , লম্বা সময় ধরে কাজ করে যাওয়ার মত প্রচুর ধৈর্য যেখানে থাকবে , সেটা নিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত! 

সফলতা পেতে চান? তবে কাজ করুন ভালোলাগা খুজে নিয়ে!  

বিশ্বাস, কাজের প্রতি ভালোবাসা, লেগে থাকার মানসিকতা আপনাকে নিয়ে যাবে সফলতার অনন্য উচ্চতায়!

বিশ্বাস করুন, আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই এমন বিশেষ কিছু গুন রয়েছে, যা অন্য সবার মাঝে নেই! তবুও আমরা কেনো যেনো আমাদের সেই সুপ্ত প্রতিভাকে খুজে বের করে কাজে লাগাতে পারিনা! তাই নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজের ভেতরের ভালোটা খুজে আনতে হবে!


Friday, October 2, 2020

আপনার কাছে সময় নেই? তাহলে নিশ্চই অনেক টাকা আছে!



আপনার কাছে সময় নেই? 

তাহলে নিশ্চই অনেক টাকা আছে! 

তাহলে টাকা দিয়েই অনেক সময় কিনে নিতে পারেন!  

কিভাবে? 

অন্য অনেকের কাছে প্রচুর সময় আছে, তাদেরকে টাকা দিলেই আপনি সময় পেয়ে যাচ্ছেন টাকার বিনিময়ে!  সিম্পল। 

হয় আপনি টাকার মালিক,  নাহয় সময়ের! 

টাকার বিনিময়ে সময় কিনবেন,  অথবা টাকার জন্য সময় বিক্রি করবেন!



 

Friday, September 25, 2020

ভুল স্বীকার করতে শিখুন, সাথে স্থায়ী সমাধান!

 


ট্রাফিক পুলিশ একটি ভাইকে আটকালেন তার লাইসেন্স সমুহ চেক করার জন্য!

একটু পরে দুজনেই আলাদা হয়ে দূরে চলে গেলেন কিছুটা ! এরপরে কি ঘটতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে? আপনারা নিশ্চই জানেন!

সম্ভবত দু'শ অথবা পাচশো টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিতে দেখলাম। কিছুক্ষন পরে ভাইটি চলে গেলেন বুক ফুলিয়ে!

কি ঘটছে এখানে ! কে কাকে দোষ দিবেন?

তবে শুনুন।

ভুল স্বীকার করতে শিখিনাই আমরা!

ভুলকে একসেপ্ট করতে পারেন?

আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজেদের ভুলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে অন্যের ভুলগুলো নিয়েই পড়ে থাকি।

আমাদের নিজেদের ভুলের জন্য যখন শাস্তি পাওয়া উচিত, ঠিক তখনি আমরা সব নীতিকথা বাদ দিয়ে দেই! কোন না কোন ভাবেই আমাদেরকে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে! এরজন্য সৎ অসৎ কোন কিছুই তখন আমাদের মাথায় থাকেনা! এটাই রিয়েলিটি।

পুলিশকে বলবেন ঘুষ খায়। অথচ আপনি ভুল করে তার সাজা পেয়ে, অনুশোচনা না করে অপরাধ এবং ডাবল অপরাধের পথ বেছে নিয়ে আড্ডায় সিগারেট মুখে দিয়ে বলবেন, শালা দেশটা গেলো নষ্ট হয়ে ঘুষখোরে!

আমি বলছিনা আপনি ঘুষ না দিয়ে অই মুহুর্তে জেলে ঢুকে যান। কিন্তু পূর্ব সতর্কতা কি সম্ভব নয়?

আমি সব নিয়ম মেনে চলবো, অন্য কেউ ভাঙতে চাইলেও বাধ্য করবো!

প্রতিবন্ধকতা চলে আসে অনেক কিছুই। তবুও আমরা এখন যা দেখতে পাচ্ছি, এসব আমাদেরই তৈরি। আমাদের নিজেদের হাত ধরেই এসব অপকর্ম চলে আসছে যুগ যুগ ধরে! কাকে দোষ দিবেন?

নিজেকে? সমাজব্যবস্থাকে? রাষ্ট্রকে?

ভেবে দেখুন তো ?

সব কিছুর মূলে কিন্তু আমি আপনি আমরাই !!

প্রথমে নিজেদের ভুলগুলোকে স্বীকার করতে জানতে হবে, মানতে হবে! নিজের ভুলকে অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার সুন্দর একটা কৌশলগত অভ্যাস আমরা পেয়েছি সেই জাতীগত ভাবেই। এটা থেকে বেরিয়ে এসে বলতে হবে, জানাতে হবে! সঠিক জিনিসগুলো যেভাবে বুক ফুলিয়ে বলার অভ্যাস, তেমনি নিজেদের ভুলগুলোকে অন্তত স্বীকার করে, তার স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে।

কাঁদা ছোড়াছুড়ির যে ঐতিহ্যগত একটা রীতি সেটাকে আড়ালে রেখে সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশ, সমাজ, সংস্কৃতিতে আমরা যেসব জিনিসে অভ্যস্ত, তা একদিনে সম্ভব নয় ছেড়ে দেয়া। একটু একটু করেই শুরু করতে হবে, প্রথমেই নিজের কাছ থেকেই।

আজ থেকেই শুরু হোক পরিকল্পনা, যাতে ভুলকে এড়িয়ে না গিয়ে স্থায়ী সমাধান খুজতে পারি। অন্যকে দোষারোপ করার আগে নিজের জায়গাটাকে আরেকটু পরিপাটি করি।

তবেই হয়তো নতুন কিছু হওয়া সম্ভব!

Thursday, September 24, 2020

বেঁচে থাকতে চান? তবে কাজ করুন মানুষের জন্য!

 জগতের নিয়ম মানেন? 

বসন্তের কোকিলের ডাকে কখনো হৃদয় উতলা হয়ে উঠেনি?

বৃষ্টির শব্দে প্রেম জমে হৃদয়টাকে তোলপাড় করেছে কখনো?

বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, অর্থ উপার্জনের তাগিদে দেশ হতে দেশান্তর ঘুরে বেড়ানো, রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে পথ চলতে থাকা মানুষগুলোকে যুদ্ধের মাঠের সৈনিকের চেয়ে বেশি সম্মান করতে ইচ্ছে হয় আমার!

নিজের কথা বাদ দিয়ে অন্যের কথা শুনতে থাকা, অন্যের কষ্টগুলোকে উপলব্ধি করা , নিজেকে সেখানে বিলিয়ে দেয়া খুবই কষ্টের! এই কাজগুলো যারা করতে পারে, ঐ মানুষগুলোকে আমার একেকটা হীরের টুকরো মনেহয়! 

আপনি ভালো থাকতে চান?

একাই ভালো থাকতে চান? 

বাড়ির পাশের রহিম কিংবা করিম ছেলেটি, অথবা তার পরিবার যদি ঠিকমতো না খেয়ে থাকে! আপনি ভালো থাকতে পারবেন?

যদি পারেন, তবে খুবই সুন্দর একটি সংজ্ঞা আপনার সাথে মিলে যাবে। 

আপনি এখনো সত্যিকারের মানুষ হতে পারেন নি! 

সত্যিকারের মানুষ হতে চান? নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান যুগ যুগ ধরে? 

তবে মানুষের জন্য কিছু করুন! হ্যাঁ মানুষের কল্যানের জন্যই ! 

একমাত্র এই কাজের মাধ্যমেই আপনি পৃথিবীতে না থেকেও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন! 

আপনি আমি আজকে যাদের নাম নিয়ে কথা বলতেছি, তারাই কোন না কোন কাজ করে গিয়েছেন মানুষের কল্যানে! 

আপনি যদি ভালো নামে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে চান, তবে অবশ্যই ভালো কিছু করতে হবে! 


বিশ্বাস করুন, আপনি চলে যাবার মুহুর্ত থেকে পৃর্থিবী আপনাকে ভুলে যাবার জন্য সব আয়োজন শুরু করে দিবে! কিন্তু আপনিই শুধু পারেন তাদের সব আয়োজনকে নষ্ট করে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ শুরু করতে ! 

অতীতের ইতিহাসের দিকে একবার তাকান! সব কিছুই বুঝতে পারবেন! সব। 


এই জীবন যেহেতু চিরস্থায়ী নয়, তাই অবহেলায় সময় নষ্ট না করে ভালো কাজে ব্যয় করা উচিত! 

শেষে একটা কথা বলতে চাই- কখনো কারো ক্ষতি সাধন কিংবা কারো ক্ষতি হোক এতটুকুও কামনা করবেন না!